প্রকাশিত: ০২/০৫/২০১৮ ১০:১৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২২ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ঘাটে পাথরের ওপর থেকে উদ্ধার হওয়া সেই তরুণীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাসফিয়া আমিন (১৬) নামে ওই তরুণী সানশাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী।তাসফিয়া আমিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আমিনের মেয়ে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে নগরের ও আর নিজাম রোডে থাকেন। এক ভাই, তিন বোনের মধ্যে তাসফিয়া সকলের বড়।

ফেসুবকে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে ‘প্রেমিক’ এর সঙ্গে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে নির্মম খুনের শিকার হলো কিশোরী তাসফিয়া? প্রতিশোধ নিতেই কি তার কথিত প্রেমিক আদনান মির্জা বেড়ানোর নামে তাসফিয়াকে খুন করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশসহ তদন্তকারী সংস্থা।

তবে হত্যা বা আত্মহত্যা যেটিই হোক প্রেমঘটিত কারণেই কিশোরী তাসফিয়া আমিনের অকাল মৃত্যু সেটা নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

পতেঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, আদনান মির্জা নামে ফেসবুকের এক বন্ধুর সঙ্গে সৈকতে বেড়াতে গিয়ে এ কিশোরী খুন হয়েছেন। এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি কিভাবে তাকে মারা হয়েছে। তবে লাশ উদ্ধারের সময় তার মুখে জখম দেখা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে বেড়ানোর কথা বলে তাসফিয়া বাসা থেকে বের হয়।

এর আগে বুধবার সকালে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় তাসফিয়ার মরদেহ।

পতেঙ্গা থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের খবরে সকালে অজ্ঞাত এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে পরিচয় পাওয়া না গেলেও দুপুরের দিকে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ’

পতেঙ্গা থানার এসআই মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর আগে ফেসবুকে আদনান র্মিজা নামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাসফিয়া। মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে বাসা থেকে বের হয় সে। এরপর রাতে আর বাসায় ফেরেনি। বুধবার সকালে চোখ, নাক-মুখ থ্যাতলানো অবস্থায় তাসফিয়ার লাশ উদ্ধার হয়। প্রথমে তাসফিয়ার পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুপুরে পরিবারের লোকজন থানায় এসে মরদেহ শনাক্ত করে।’

বন্দর থানা পুলিশের এডিসি শামসুল আরেফিন জানান, ফেসবুকে পরিচিত বন্ধু আদনান মির্জার সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন খুন হয়েছে। আসামি ধরা পড়লে খুনের রহস্য বের হবে।

নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (কর্ণফুলী) জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এঘটনায় আদনান মির্জা নামে একজনকে আমরা সন্দেহ করছি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। সেজন্য সন্দেহভাজনকে আটক করা জরুরি। এখন তাসফিয়াকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে তার কথিত প্রেমিকার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে সেটা তদন্তে উঠে আসবে।’

তবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ বলছে, ‘তাসফিয়াকে ধর্ষণের পর বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...

ইসলামপুরে আটক রোহিঙ্গা যুবককে কুতুপালং ক্যাম্পে হস্তান্তর

জামালপুরের ইসলামপুরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মো. রোবেল (২২) নামের সেই রোহিঙ্গা যুবককে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ের ট্রানজিট ...